বুধবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

কামারখন্দে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা, নিরব প্রশাসন

কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের কর্ণসূতি গ্রামে মাদক বিক্রি ও মাদক ছিনিয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৬ এপ্রিল সকালে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রকাশ্যে হাতাহাতির এ ঘটনা এলাকাজুড়ে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা মাদক বিরোধী ব্যানার টানিয়ে প্রতিবাদ জানালেও তা কোনো কাজে আসছে না। গ্রামবাসীর অভিযোগ, মৃত সুরমান মণ্ডলের ছেলে খলিল, আব্দুল লতিফ, কসাই মিন্টুর ছেলে কেদুসহ একটি গ্যাং গত ২২ এপ্রিল রাতে মাদক ছিনিয়ে নেয়া কেন্দ্র করে ২৬ এপ্রিল সকালে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।পুলিশ এসে দুই পক্ষকে ডেকে থানায় নিয়ে ভিন্ন ভাবে মিমাংসা করে দিয়েছে।

মাদক এখন কর্ণসূতিতে প্রকাশ্যে কেনাবেচা হয়। ফলে তরুণ সমাজ ধ্বংসের পথে। স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

স্থানীয়রা জানান, লতিফ কর্ণসূতি গ্রামের জামাই হলেও মূল বাড়ি সলঙ্গার কাচারীপাড়ায়। দীর্ঘদি এলাকা থেকে মাদক বিক্রি করে কোটি টাকার মানুষ হয়ে গিয়েছে তার নিজস্ব চারটি ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক রয়েছে সেই ট্রাক দিয়ে মাদক আনা নেওয়া করে। তার বিরুদ্ধে কথা বললে তিনি মিথ্যা মামলা দিবে এমন ভয় দেখায়। লথিফের বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মালাও রয়েছে।  আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত লথিফকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করুক।

শুধু কর্ণসূতি নয় উপজেলার জামতৈল গ্রামের শীর্ষ গাঁজা বিক্রিতা ইমান,খালেক,ধোপাকান্দি গ্রামের মান্নান,খাঁন,চর ধোপাকান্দি গ্রামের খোনক,রায়দৌলতপুর গ্রামের রমজান, নান্দিনা কামালিয়া গ্রামের হানিফ সরকার,বীর ভদ্রঘাট গ্রামের ফরিদুল, বিয়ার গ্রামের মোস্তফা । শীর্ষ ইয়াবা, হেরোইন বিক্রিতারা হলেন, ঝাঐল গ্রামের প্রকাশ,লিটন,জামতৈল গ্রামের বেদেনা,রবি, চৌবাড়ী গ্রামের নাসীম,শিশির, হোসেন,বললামপুর গ্রামের ফজলসহ উপজেলায় প্রায় এক শতাধিক মাদক বিক্রেতা রয়েছে।

গাঁজা ৫০ থেকে ১০০ টাকা পুরিয়া, ইয়াবা প্রতি পিস ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই মাদক স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও কর্মচারীও এসব মাদকের ক্রেতা বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে। তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী বা বিক্রেতা বেশির ভাগ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। অধিকাংশ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। দেশে চলমান বিশেষ অভিযানের মধ্যেই তারা বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করছে।

কামারখন্দ থানার পুলিশ জানায়, গত নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১২টি মাদক মামলা হয়েছে এবং ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাদক কেনাবেচা বিষয়ে লতিফের কাছে জানতে চাইলেই তিনি জানান ,আমি আগে মাদক ব্যবসা করলেও এখন আর করি না। সিরাজগঞ্জ রোডে মুদি দোকান দিয়েছি, সেখান থেকে সংসার চালাই।

কামারখন্দ থানা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল লতিফ জানান,কর্ণসূতি মাদক নিয়ে একটা মারামারি ঘটনা ঘটেছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো, যারা মাদকের সাথে জড়িত তাদেরকে খোঁজা হচ্ছে। দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

কামারখন্দ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.রবিউল ইসলাম জানান,মাদকের সাথে যারা জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়