গণতন্ত্রকে সমূলে ধ্বংস করে কোন সাহসে আ.লীগ গণতন্ত্রের কথা বলে, প্রশ্ন ফখরুলের


সংবাদের আলো ডেস্ক: গণতন্ত্রকে সমূলে ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ নেতারা এখন কোন সাহসে গণতন্ত্রের কথা বলেন, জানতে চেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (৯ জুন) জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রকে সমূলে ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ এখন মুখে গণতন্ত্রের বুলি আড়রাচ্ছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, বিরোধী দল, গণতন্ত্র সবকিছুকেই দেউলিয়া করেছে ক্ষমতাসীনরা। এখন কোন সাহসে আওয়ামী লীগ নেতারা গণতন্ত্রের কথা বলেন? এসময় তিনি বলেন, শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশকে বিদেশিদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।


গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন জিয়াউর রহমান। জাতীয় প্রেসক্লাব তো জিয়াউর রহমানের অবদান। অথচ তার নামই উচ্চারণ করতে চায় না।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকাল তো জিয়াউর রহমানের নাম নেওয়া যায় না। পরবর্তী প্রজন্ম তো তাকে স্মরণ করতে পারবে না। এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ পাঠ্যপুস্তকে তার সম্পর্কে কোনো কিছু লেখা নেই। এটা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে। যে লোকটি স্বাধীনতার ঘোষণা দিল তার নামই নাই।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বাইরে যেতে পারে না। তাদের কেমিস্ট্রিতে এটা নাই। আওয়ামী লীগের চরিত্র হচ্ছে কাউকে সহ্য করতে না পারা। তারা প্রথমত সহিষ্ণুতায় বিশ্বাস করে না।

পক্ষান্তরে জিয়াউর রহমান সবার কথা শুনতেন। তিনি কথা কমই বলতেন। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ ও দক্ষ ব্যক্তি সবার সঙ্গে কথা বলে যে শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন তা বাংলাদেশে আর কখনো হয়নি।’ বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সন্ত্রাস নির্মূলে কাজ করেছেন। তিনি দেশের মানুষের মনের ভেতরে ঢুকে গিয়েছিলেন। তার অলৌকিক শক্তি দিয়ে তিনি মানুষকে কাছে টানতেন। আজকে তার সম্পর্কে আমরা ঠিকভাবে বলতে পারি না। এতো সৎ মানুষ ছিলেন। কোনো স্বজনপ্রীতি ছিল না। নিকটাত্মীয়রাও কম আসতেন বাসায়। তার সততার ধারে কাছেও কেউ যেতে পারবে না। যে কারণে তার কফিন ঢাকায় আনা হলে বন্যার পানির মতো মানুষ ভিড় জমাতে থাকলো।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।