কমছে ডলারের দাম, বাড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ


সংবাদের আলো ডেস্ক: একদিকে বিশ্ববাজারে কমছে ডলারের দাম। অপরদিকে, বাড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ। সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তির আভাস। দেশে আমদানি ও বিনিয়োগ কমায়, মুদ্রাটির তেমন চাহিদাও নেই। নীতি নির্ধারকদের দাবি, এটি শক্তিশালী অর্থনীতির ইঙ্গিত। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, হুন্ডির মাধ্যমে অর্থপাচার মাথাচাড়া দিলে এই স্বস্তি থাকবে না।
বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বলতে মূলত মার্কিন ডলারকে বুঝে বাংলাদেশ। তিন বছর এর মজুত নিয়ে বিপাকে পড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ধাক্কার শুরু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে। যার প্রভাবে জ্বালানি থেকে খাদ্যপণ্য কিংবা পরিবহন সব ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়ে। ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায় মূল্যস্ফীতি। কিন্তু, গত কয়েক মাস ধরে সেই ডলার সংকট কাটতে শুরু করেছে।
বলা হচ্ছে, রিজার্ভ বাড়ার মূল কারণ প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। হুন্ডি ব্যবসায়ীদের তৎপরতা কমায়, ব্যাংকিং চ্যানেলেই আসছে বেশিরভাগ প্রবাসী আয়। ফলে বহু বছর পর ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে রিজার্ভ। এর বাইরে জুনে ঋণের দুই কিস্তির অর্থ একসাথে দিয়েছে আইএমএফ। আরও দেড়শ কোটি ডলার ছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি। পাইপলাইনে আছে এআইআইবি, জাপান ও ওপেক ফান্ডের টাকা। যদিও এর ফলে বিদেশি কিস্তির চাপ বেড়েছে।
১০ মাস ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে না। কড়াকড়ি কমায় ব্যাংকে গেলেই ডলার পাচ্ছেন আমদানিকারকরা। এলসি দায় মেটানো যাচ্ছে ১২৩-১২৪ টাকা রেটেই। আবার প্রবাসী এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে দেশের ব্যাংকগুলো এখন ডলার কিনতে পারছে ১২২ টাকা ৭০ পয়সায়। প্রশ্ন হচ্ছে, এই স্বস্তি কি বেশিদিন মিলবে?
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, অর্থ পাচারের ক্ষেত্রে একটা শূন্যতা বিরাজ করছে। পুরোনো খেলোয়াড়রা চলে গেছে। এখনও নতুন খেলোয়াড়রা ঠিক গেড়ে বসতে পারেনি। আবারও যদি তারা গেড়ে বসতে পারে, সেই দুর্নীতির খেলা চালু হয়, তাহলে আবারও সেই পুরোনো অবস্থা হবে।
আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী দেশে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ এখন সাড়ে ২৫ বিলিয়ন ডলার। এখান থেকে ব্যবহার করা যাবে ১৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।