বেলকুচিতে চাঁদা না দেওয়ায় সরকারি রাস্তার নিমার্ণ কাজে বাঁধা


উজ্জ্বল অধিকারী: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) প্রকল্পের আওতায় সিসি রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই পরিবারের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গত ৮ মে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক নুরন্নবী বেলকুচি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের ক্ষিদ্রজোকনালা এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) প্রকল্পের আওতায় জিন্নাহর বাড়ি থেকে আষান মন্ডলের বাড়ি পর্যন্ত ২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫৫ মিটার সিসি রাস্তাটি নির্মাণের কাজের বরাদ্দ দেওয়া হয়। রাস্তার নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে গত ৬ মে কাজ শুরু করলে দু’ দিন নির্মাণ কাজ করার পর ক্ষিদ্রজোকনালা গ্রামের মৃত শুকুর মাহমুদের ছেলে ওসমান গনি (৬৭) ও মৃত সেতল মন্ডলের ছেলে জামাল মন্ডলসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা কাজে বাধা দেয় এবং চাঁদা দাবি করে।
এ সময় রাস্তা নির্মাণের কাজে আসা শ্রমিকদের নানা ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া রাস্তাটির নির্মাণ কাজ যাতে আর না করা যায় সেজন্য রাস্তার ওপরের মাটি রাতের আধাঁরে কেটে একদম সমান করে ফেলে। রাস্তাটি নির্মাণ না হলে এবং চলাচলের উপযোগী না করা গেলে ভোগান্তিতে পড়বে কয়েকটি পরিবার। এ বিষয়ে অভিযোগকারী ও রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক নুরন্নবী বলেন, ওসমান গনি ও জিন্নাহ আকন্দেরর দুই পরিবারের লোকজন মিলে মানুষের চলাচলের সরকারিভাবে নির্মাণাধীন রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
গত বছরও যখন সরকারিভাবে রাস্তায় মাটি ফেলার কাজ করা হয় তখনও ঝমেলা করে ছিলো পরে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিলে তখন মুচলেকার দিয়ে ছিলো আর কখনও রাস্তার কাজে বাধাঁ সৃষ্টি করবে না। কিন্তু আর সিসি রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু করার দু’ দিন পর জিন্নাহসহ বেশ কয়েজন চাঁদা বাদী করে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা কাজ বন্ধ করে দেয়। এ বিষয় নিয়ে আমি বেলকুচি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। প্রশাসন তদন্ত করে জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন এমনটাই আশাবাদী।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওসমান গনি বলেন, প্রথমে যখন রাস্তা হয় জমির দুই মৌজার মাঝখান দিয়ে তখন জানতাম এটা হয়তো খাষ খতিয়ান ভুক্ত পরে খোজ খবর নিয়ে দেখি যেখান দিয়ে রাস্তা হচ্ছে তা আমাদের মালিকানাধীন জায়গা। এ জন্য রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। এ বিষয়ে ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের প্রশাসক ইমান আলী বলেন, স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে পুরোনো রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মাধ্যমে সিসি রাস্তার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। কিন্তু স্থানীয় কিছু লোকজন রাস্তার নির্মাণ কাজে বাধা দেয়।
এই বিয়ষটা ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকেরিয়া হোসেন বলেন, সরকারি রাস্তার কাজ বন্ধ আছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিয়া সুলতানা কেয়া বলেন, রাস্তা নির্মাণের কাজ জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বন্ধ আছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।