মঙ্গলবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

আলফাডাঙ্গায় চরআজমপুর  মধুমতি নদীর বাঁধ ধসে আতঙ্ক, দ্রুত মেরামতের আশ্বাস কর্তৃপক্ষের

আলমগীর কবির, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার চর আজমপুর গ্রামে মধুমতি নদীর ডান তীর সংরক্ষণ বাঁধের প্রায় ৩০ মিটার অংশ ধসে পড়েছে। এই ঘটনায় নদীর তীরবর্তী শতাধিক পরিবারের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বাঁধের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলেও এখনো সেটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।

গত সোমবার ভোর থেকে বাঁধের সিসি ব্লকগুলো খসে পড়তে শুরু করে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং নির্মাণকাজে গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। চর আজমপুর গ্রামের বাসিন্দা শামীম মোল্লা বলেন, “আমার বাড়ি একেবারে নদীর কাছে। যেকোনো মুহূর্তে আমার ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। আমরা খুব আতঙ্কে আছি।” একই গ্রামের হান্নান শরীফ বলেন, “দ্রুত মেরামত করা না হলে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর বিলীন হয়ে যাবে।”

স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হোসেন জানান, প্রকল্পের কাজ এখনো শেষ না হওয়ায় মেরামতের সম্পূর্ণ দায়িত্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। তিনি বলেন, “নদীর স্রোতধারার পরিবর্তনের কারণে এই সমস্যা হয়েছে। আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতের নির্দেশ দিয়েছি।”

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স লিটন মল্লিকের ব্যবস্থাপক জিয়াউর রহমান জানান, নদীতে অতিরিক্ত পানির চাপের কারণে কিছু অংশ ধসে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি সুরক্ষিত করার কাজ চলছে। নদীর পানি কমলে ব্লক স্থাপন করে স্থায়ীভাবে মেরামত করে দেওয়া হবে।

এদিকে, আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল ইকবাল এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছেন। তিনি বলেন, “এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, তবে কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। কোনো ধরনের গাফিলতি পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা নিশ্চিত করব যেন বাঁধটি দ্রুত ও সঠিকভাবে মেরামত করা হয়।” ইউএনও-এর আশ্বাসে স্থানীয়দের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা আশা করছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধটি মেরামত করা হবে এবং তাদের বাড়িঘর সুরক্ষিত থাকবে

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়