সলঙ্গায় বক পাখি অবমুক্ত করে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন হাজী সেলিম
মো: আখতার হোসেন হিরন: সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় বক পাখি অবমুক্ত করে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন হাজী সেলিম খন্দকার। “জীবে দয়া করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর” জীবের আত্মারুপে স্রষ্ঠা স্বয়ং জীবের মধ্যেই অবস্থান করেন। তাই জীবের সেবা করলেই আসলে স্রষ্ঠারই সেবা করা হবে। বস্তুত জীবের প্রতি আন্তরিক না হলে স্রষ্ঠার নৈকট্য লাভ করা সম্ভব হবে না।
স্রষ্ঠার সৃষ্টিকে ভালোবাসার মাধ্যমেই কেবল স্রষ্ঠার সান্নিধ্য লাভ করা সম্ভব। তাই জীবকে ভালো বেসে শীত কালীন অতিথি বক পাখি কিনে অবমুক্ত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সলঙ্গা সদরের মানবিক মানুষ হাজ্বী সেলিম খন্দকার। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার সলঙ্গা হাট থেকে শিকারীদের কাছ থেকে ক্রয় করে ১০টি বক পাখি আজকে শুক্রবার বিকেলে খোলা আকাশে অবমুক্ত করে দিয়ে পাখিগুলোকে প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দিলেন।
শিকারীগণ চলনবিল এলাকা থেকে পাখি শিকার করে এলাকার বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় হাট থেকে বিশিষ্ট সমাজসেবক হাজী সেলিম শিকারীদের কাছ থেকে ১০ টি বক পাখি ক্রয় করেন। শখের বশবর্তীতে বাড়িতে এনে খাঁচায় বন্দি করেন। উড়ন্ত প্রাণীকে খাঁচায় বন্ধি রাখা সরকারি আইনের পরিপন্থী বলে তার বিবেকে নাড়া দেয়। তাই তো তিনি সলঙ্গার সাংবাদিক, সচেতন মহলের উপস্থিতিতে বক পাখিগুলোকে অবমুক্ত করেন।
অবমুক্তকরণে উপস্থিত ছিলেন, রায়গঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম মুন্নু,সাংবাদিক সাহেদ আলী,রফিকুল ইসলাম মিয়া,আমিনুল ইসলাম স্বপন,মানিক মিয়াসহ অনেকে। এ ধরনের সচেতনতা ও মহতী উদ্যোগ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে সচেতন মহল মনে করেন। সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে পাখিগুলো উদ্ধার ও অবমুক্ত করায় উপস্থিত সবাই হাজী সেলিমকে ধন্যবাদ জানান।



সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।