পৌর কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ
সুবীর দাস, নওগাঁ: নওগাঁয় পৌরসভার নাগরিক সবার মান উন্নয়ন না করে অযৌক্তিক ভাবে কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষােভ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে।
রবিবার(৩ আগস্ট) দুপুর ১২ টায় নওগাঁ শহরের মুক্তির মােড় পৌর ভবনের সামনে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষােভ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।
মানববন্ধনে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এস.এম আজাদ হােসেন মুরাদ এর সভাপতিত্বে শিক্ষক জাহিদ রাবানি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সম্বয়ক জয়নাল আবদিন মুকুল, সমাজসেবক বিন আলী পিটু, ৭ নং ওয়ার্ড বাসী আব্দুল বাশির, ৩ ওয়ার্ড বাসী রাশেদুজ্জামান, ২ নং ওয়ার্ড বাসী আকতারন সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। এসময় পৌরবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা হওয়ার পরেও এর পৌরবাসীরা নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ড্রেনজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, খানাখন্দর ও ভাঙা রাস্তায় চলাচল জনদূর্ভাগ, সুপেয় পানির ব্যবস্থা না থাকা এবং সন্ধ্যার পর আলাে (লাইটিং) ব্যবস্থা না থাকায় পৌরবাসীকে দীর্ঘদিন থেকে দুর্ভোগ পােহাতে হচ্ছে।
পৌর বিধি মােতাবেক ৫ বছর পর পর পৌরকর বৃদ্ধি করা হয়। গত ৮ জুলাই পৌরকর বৃদ্ধির বিষয় গণমাধ্যমকর্মীদের নিয় পৌর প্রশাসক সংবাদ সম্মেলন করেন। যেখান পানির বিল ২০০ টাকা থেক ৩০০ টাকা ও অন্যান্য কর ৪০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়।
সেখানে গণমাধ্যমকর্মীরা পৌরকর বৃদ্ধি না করতে দ্বিমত পােষণ করেন। তবে বকেয়া পৌরকর আদায়ের ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মীরা তাগিদ দিয়েছেন। পৌরসভার উন্নয়ন সবাই চাই। সবার মান বৃদ্ধি না করে পৌরকর বৃদ্ধি অযৌক্তিক। পৌরবাসীকে করের বােঝা চাপিয়ে দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব না।
শিক্ষক জাহিদ বলেন, গরীবেরা টাকা দিতে পারে না আবার কথাও বলতে পারে না। তাদের ওপর করের বােঝা চাপানা হচ্ছে। এটা এক ধরনের বৈষম্য। কর পরিশােধ পৌরবাসীকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। আবার অতিরিক্ত কর যাচাই-বাছাইয়ে ৫০ টাকা খরচ করে আবেদন করতে বলা হচ্ছে। এটা কি ধরণর যৌক্তিকতা।
পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল বাশির বলন, এক বছর আগেও বাসাবাড়ির কর দিয়েছি ৯০০ টাকা। এখন পৌরসভা থেকে নির্ধারিত কর ৯ হাজার টাকা পরিশাধ করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পানির সুবিধার্থে বাসায় সাবমারসিবল পাম্প বসিয়েছি। সেটারও দেড় হাজার টাকা কর দিতে হবে। অথচ বাড়েনি কোন নাগরিক সুবিধা। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। পৌরসভার এ সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক দাবী করেন তিনি।
২ নং ওয়াডের বাসিন্দা আকতার“ন বলেন, বাসাবাড়ির জন্য আগে ৩৬০ টাকা কর দিতে হতো। যা গত বছর পর্যন্ত পরিশােধ করা আছে। হঠাৎ করে এ বছরের জন্য ৪২ হাজার ১ টাকা কর পরিশােধ নােটিশ দেওয়া হয়েছে। নােটিশ পেয়ে পৌরসভায় সত্যতা যাচাই করতে আসি। তারাও একই কথা জানালেন। এখন মাথার উপর যেন আসমান ভেঙে পড়ার মতা অবস্থা।
নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক টি.এম.এ. মমিন বলেন, অযৌক্তিক কর নির্ধারণ কথাটি ঠিক না। এটা অতিরিক্ত হতে পারে। আর এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। তবে আমাদের কর নির্ধারণ মূল্যায়ন কমিটি আছে, সেখানে আবেদন করলে তারা পুনবিবেচনা করতে পারে।



সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।