বৃহস্পতিবার, ২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

রাজপাহাড়’—স্নেহ ও সখের প্রতীক এক বিশাল গরু

মনিরুল ইসলাম, নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের (মামুদনগর) উত্তর পাড়া গ্রামে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে এক বিশালাকৃতির গরু, যার নাম ‘রাজপাহাড়’। নামটি যেমন ব্যতিক্রমী, তেমনি এর আকৃতি ও পরিচর্যার গল্পও বিস্ময়কর। এলাকাবাসীর কাছে গরুটি এখন গর্ব, ভালোবাসা আর দীর্ঘ পরিশ্রমের প্রতীক।

বৃহস্পতিবার, ২২ মে সকালে গরুটির মালিক রামপ্রসাদ সাহা রাজবংশী নিজ বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে জানান, ‘রাজপাহাড়’-এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ ফুট, উচ্চতা ছয় ফুট, আর ওজন প্রায় ১৫ মণ। প্রতিদিন গড়ে ১০ কেজির বেশি খাবার খায় এই গরুটি। এর খাদ্য তালিকায় রয়েছে গমের ভুসি, ভূট্টার গুড়ি, সয়াবিনের ভুসি, ডাবলি ভুসি, ছোলা বুট, ভূট্টা ভাঙা, খুদ, খৈল, কলা ও সবুজ ঘাস।

তিনি বলেন, “গরুটি আমাদের পালিত একটি গাভির বাচ্চা। গত তিন বছর ধরে পরম স্নেহে লালন-পালন করেছি। এবার কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

তিনি আরও দাবি করেন, “গরুটিকে কোনো ধরনের কৃত্রিম খাদ্য বা ফিড খাওয়ানো হয়নি। যদি কেউ প্রমাণ করতে পারেন যে এতে কেমিক্যাল বা ফরমালিনযুক্ত কিছু খাওয়ানো হয়েছে, তাহলে আমি গরুটি বিনামূল্যে দিয়ে দেব।”

‘রাজপাহাড়’কে ঘিরে রয়েছে পরিবারের সবার গভীর যত্ন ও ভালোবাসা। দিনে দুইবার গোসল করানো হয়, সারাদিন ফ্যানের নিচে রাখা হয় এবং রাতে মশারির মধ্যে ঘুমানোর ব্যবস্থা রয়েছে।

গরুটি দেখতে এবং কিনতে আগ্রহীরা যোগাযোগ করতে পারেন—মামুদনগর ইউনিয়নের উত্তর পাড়া, রামপ্রসাদ সাহা রাজবংশীর বাড়ি, নাগরপুর, টাঙ্গাইল।

‘রাজপাহাড়’ এখন আর শুধু একটি গরুর নাম নয়—এটি একটি পরিবারের দীর্ঘ তিন বছরের সখ, সাধনা ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়