বৃহস্পতিবার, ৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

তাল শাঁসে নজর কাড়ে

এএস সফিক, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ): ‘ঐ দেখা যায় তাল গাছ, ঐ আমাদের গাঁ, ঐ খানেতে বাস করে কানা বগির ছা’। ‘কানা বগির ছা’ থাক বা না থাক, তাল গাছগুলোতে কিন্তু কচি তালে ভরে গেছে। মধু মাসখ্যাত বাংলার জ্যৈষ্ঠ মাসে এই তালের শাঁস বাজারে এসেছে।

এই মধু মাসে মৌসুমি ফল আম, জাম, কাঁঠাল ও লিচুর পাশাপাশি পাওয়া যায় তালের নরম শাঁস। রসে ভরা এসব ফল সুন্দর ও তাজা রাখতে অসাধু ব্যবসায়ীরা ফলে ফরমালিন বা রাসায়নিক মিছিয়ে দেন। ফলে এসব ফল বিষ যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এ সব কারণে মানুষ ঝুঁকে পড়ছেন পুষ্টিগুণসম্পন্ন গ্রীষ্মকালীন ফল তালের শাঁসে (তাল কুড়)। তাই কদরও বেড়েছে এই ফলের।

সারাদেশের মতো মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলাতেও তাপপ্রবাহ বইছে। টানা তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিন-রাতের এই খরতাপ থেকে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে রসালো তালের শাঁসের কদর বেড়েছে সাটুরিয়ায়।

উপজেলার দরগ্রাম বাজারে তালের শাঁস বিক্রেতা মো. মামুন হোসেন বলেন, গরম বাড়ার সাথে সাথে তালের শাঁস বিক্রির চাহিদা বেড়েছে। কেউ নরম শাঁস আবার কেউ শক্ত শাঁস খেতে পছন্দ করে। প্রতিটি তালের শাঁসে দুই থেকে তিনটি বিচি (তাল কুড়) থাকে। প্রকার ভেদে প্রতি তাল কুড় ১০ টাকা ধরে বিক্রি হয়।
তালের শাঁস কিনতে আসা উজালা বেগম বলেন, আমার সন্তান তালের শাঁস খাওয়ার বায়না ধরেছে তাই তালের শাঁস কিনতে এসেছি।

মো. নিরব হোসেন নামে এক স্কুল ছাত্র বলেন, গরম পড়লে আমরা তালের শাঁস কিনে খাই।
সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, সিজোনাল ফল হিসেবে তালের শাঁসে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন রয়েছে। যা মানব দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়