আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় একই স্থানে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সভা আহ্বান করাকে কেন্দ্র করে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে ।এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আলফাডাঙ্গা পৌর সদর বাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে সকল ধরনের সভা সমাবেশ মাইকিং করে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছেন। সোমবার (২৬ মে) সকাল দশটায় আলফাডাঙ্গা পৌর সদর বাজার এলাকায় এই আদেশ জারি করা হয়।এই ১৪৪ ধারা সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ধার্য করা হয়।

জানা যায়, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম ও জেলার বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামচুদ্দিন মিয়া ঝুনু (নাসির গ্রুপ ও ঝুনু গ্রুপ) উভয়েই ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রাত্যাশী।

এ দু’গ্রুপের মধ্যে ঝুনু মিয়া গ্রুপের নেতৃত্বে আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোসবুর রহমান খোকনের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা খন্দকার নাসিরুল ইসলাম গত রবিবার বেজীডাঙ্গা হাই স্কুলে একটি কর্মী সভায় মনিরুজ্জামান মাসুদ মাস্টার কে উক্ত মঞ্চে রেখে মিটিং করায় বিএনপির একাংশ ঝুনু গ্রুপ উক্ত মনিরুজ্জামান মাসুদ মাস্টার আওয়ামী লীগের লোক বলে দাবি করায় সেটির প্রতিবাদে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে খন্দকার নাসিরুল ইসলাম কে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে আলফাডাঙ্গা বাজার চৌরাস্তায় সকাল ১০টায় মানববন্ধন কর্মসূচির আহ্বান করেন।

ঠিক একই সময়ে নাসির গ্রুপের পক্ষে নেতৃত্বে থাকা উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক (স্থগিত কমিটি) আব্দুল মান্নান মিয়া আব্বাস ও সদস্য সচিব (স্থগিত কমিটি)নূর জামাল খসরু’র নেতৃত্বে দুই পক্ষের লোকজন জড়ো হতে শুরু করলে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ ও ফরিদপুর থেকে আগত পুলিচের রিসার্ভ ফোর্স তাদের সভা সমাবেশ পন্ড করেদেন। যথাস্থানে স্থানে মানববন্ধন করতে না পেরে ঝুনু গ্রুপের লোকজন ওখান থেকে সরিয়ে গিয়ে বারাশিয়া নদী পার হয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা বোয়ালমারী সিমানায় মাগুরা মাদ্রাসা মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

এ বিষয় কে কেন্দ্র করে যে কোনো সময়ে সংঘাতের আশঙ্কায় আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) একেএম রাহানুর রহমান আলফাডাঙ্গা বাজার সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন। বিষয়টি কে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এলাকায় টহল জোরদার রেখেছেন। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) একেএম রায়হানূর রহমান বলেন পরিস্থিতি আনতে নিয়ন্ত্রণে আনতে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত আমরা ১৪৪ ধারা জারি করেছি।

থানার দায়িত্বে থাকা এসআই সুজন বিশ্বাস বলেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ ও আমরা থানা পুলিশ আইনশৃঙ্খলা জোরদার বৃদ্ধি করেছি। এই ঘটনায় কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার ঘটেনি। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।