গোপালগঞ্জে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, লাশ রেখে পালালো শশুর বাড়ির লোকজন


গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে নাসিমা খানম (২০) নামের এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।ঘটনাটি ঘটে কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের হিরন্য কান্দি গ্রামে।তার স্বামীর নাম রিমন মীর। সে একই উপজেলার জোনাসুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী মোল্লার মেয়ে। গত ১ বছর আগে হিরন্য কান্দি গ্রামের বাকের মীরের ছেলে রিমন মীরের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।বিয়ের পর থেকেই তাকে শারীরিক ও মানষিক ভাবে অত্যাচার করতো তার শাশুড়ি শিমুল বেগম ও তার পরিবারের লোকজন।নিহত নাসিমা খানমের পিতা মোহাম্মদ আলী মোল্লা জানান মৃত্যুর ৮ দিন আগেও শাশুড়ীর অত্যাচারে পর পর দুই দিন না খেয়ে ছিল।
ঘটনার দিন আমার মেয়ের শাশুড়ী শিমুল বেগম আমাদের বাড়িতে যায় এবং আমার স্ত্রী কে বলে তোমার মেয়ে তুমি ফেরত নাও।না হলে কখন কি করে বসে বলে চলে যায়।এর আধা ঘণ্টা পর আমার মোবাইলে ফোন দিয়ে বলে তাড়াতাড়ি আসো তোমার মেয়ে কি যেন খাইছে।খবর পেয়ে আমি ও আমার স্ত্রী ছুটে যাই।গিয়ে দেখি আমার মেয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে আছে এবং মুখ থেকে লালা ও বোগলা উঠছে।পরে ঐবাড়ির লোকজনসহ ওটোতে তুলে কাশিয়ানী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসি।হাসপাতালের ট্রলিতে উঠালে ডা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
কাশিয়ানী উপজেলা হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে কর্তব্যরত ডাঃ মেহেরাব হাসান জানান রোগীর আত্মীয়-স্বজন তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে।মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে মৃত ঘোষণা করে। কাশিয়ানী থানার এস আই দীপঙ্কর জানান ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতাল রিপোর্ট তৈরি করি এবং ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করি। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি অপমৃত্যু মামলা রিজু হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।