
সংবাদের আলো ডেস্ক: সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্মৃতিচারণা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, তিনি (খালেদা জিয়া) বলতেন, বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, কোনো প্রভু নেই।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজার আগে খালেদা জিয়ার জীবন ও কর্ম নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, খালেদা জিয়া জনগণের কল্যাণে একের পর এক গ্রহণ করেছেন যুগান্তকারী সব কর্মসূচি। তার পরিকল্পনায় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনের পর বাংলাদেশ বিশ্বে পরিচিত পেয়েছিল ইমার্জিং টাইগার হিসেবে।
বক্তব্যে তিনি খালেদা জিয়ার জন্ম, পারিবারিক জীবন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া, রাজনৈতিক জীবনে তার উত্থানসহ গুরুত্বপূর্ণ নানা দিক তুলে ধরেন।
এর আগে দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে লাল-সবুজ জাতীয় পতাকায় মোড়ানো ফ্রিজার ভ্যানে করে খালেদা জিয়ার মরদেহ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের জানাজাস্থলে আনা হয়।
বুধবার বিকেল ৩টার দিকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে খালেদা জিয়ার জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় অংশ নেন তার পুত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের প্রতিনিধি, বিদেশি অতিথি, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, আলেম-ওলামাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লাখ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
জাতীয় সংসদ ভবনের অভ্যন্তরীণ মাঠ ও আশপাশের এলাকা ছাড়িয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার ও আগারগাঁও পর্যন্ত এলাকায় মানুষের ঢল নামে।
জানাজা শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি বীর উত্তম জিয়াউর রহমানের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় খালেদা জিয়াকে সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিদেশি অতিথি, কূটনীতিক ও বিএনপির মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কাউকে জিয়া উদ্যানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগর এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত থাকবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2026 সংবাদের আলো. All rights reserved.