
রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশার প্রভাবে বোরো ধানের বীজতলায় ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে । এ অবস্থা চলতে থাকলে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বোরো আবাদে বীজতলা তৈরি করা হলেও ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে টানা কুয়াশা ও তীব্র শীতে অধিকাংশ বীজতলা নষ্ট হওয়ার পথে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ৯ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। উপজেলার একাধিক কৃষকরা জানান, কুয়াশা থেকে রক্ষায় বীজতলায় পলিথিন ব্যবহার করেও আশানুরূপ ফল পাচ্ছেন না। ফলে অনেক কৃষককে চড়া দামে চারা কিনে ধান রোপণ করতে হতে পারে। এতে উৎপাদনে দ্বিগুন খরচ বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উপজেলার চান্দাইকো ইউনিয়নের নন্দিপাড়া গ্রামের কৃষক তরিফুল ইসলাম জানান, টানা কুয়াশা ও শিশিরে বীজতলার গোড়া পঁচে যাচ্ছে। দ্রুত তাপমাত্রা স্বাভাবিক না হলে বোরো আবাদ নিয়ে বড় ধরনের শঙ্কা তৈরি হবে।
ধামাইনগর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম বাচ্চু জানান, গত দুই সপ্তাহের অব্যহত কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে আমার বোরো ধানের বীজতলা সাদা হয়ে গেছে। পলিথিনের সেড ও ঔষুধ প্রয়োগ করেও তেমন সুফল পাওয়া,জাচ্ছে না। রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মমিনুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে বোরো আবাদ রক্ষায় কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। কুয়াশাজনিত ক্ষতি কমাতে বীজতলায় পলিথিনের ছাউনি দেওয়া সহ সঠিক সেচ ব্যবস্থাপনা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.