
উজ্জ্বল অধিকারী: পিত্তথলিতে পাথরে আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের হৃদয় ও বিত্তবানদের কাছে আকুতি জানিয়েছেন এক হতভাগা মা। দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার জন্য পিত্তথলিতে পাথর অপারেশন করতে পারছেনা। নিজের চোখের সামনে অপারেশনের অভাবে ধুঁকতে ধুঁকতে মৃত্যুর পথে ধাবিত হওয়া ছেলেকে বাঁচাতে বিত্তবানদের সহযোগিতা চান তিনি। জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌর এলাকার চালা দক্ষিনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত নিত্য হাওলাদারের ছেলে চিত্ত রঞ্জন হাওলাদার (৪৮) দীর্ঘ দুই মাস ধরে পিত্তথলিতে পাথর ও খাবার নালিতে পাথর আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালরে জীবন অতিবাহিত করছে।
অবস্থা অবনতি হলে গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এনায়েতপুরস্থ খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টাকার অভাবে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার করার ব্যয় পরিবার বহন করতে হিমশিম খাচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানান, দুই মাস আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর পর বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিছুদিন চিকিৎসাধীন ছিল। চিকিৎসকের পরামর্শে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িতে ছিলো। চিকিৎসক বলেছে চিত্ত রঞ্জনের পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে। তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকরা তার পরিবারকে পিত্তথলির অপারেশন (অস্ত্রোপচার) এর জন্য পরামর্শ দেন। কিন্তু অর্থের অভাবে অপারেশন করা হচ্ছে না।
এখন অবস্থার অবনতি হওয়ায় খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসাবিহীন রয়েছে। বিবাহিত জীবনে তার তিনটি কন্যা সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে। চিত্ত রঞ্জন হাওলাদারে মা জানান, দুই-আড়াই লাখ টাকার জন্য আমার ছেলে প্রতিদিন একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। মা হয়ে ছেলের এই কষ্ট আমি সহ্য করি কীভাবে? ছেলেকে বাঁচাতে মায়ের আকুল আবেদন, সমাজের বিত্তবানদের কাছে, আপনারা আমার ছেলেকে বাচাঁন। হয়ত আপনাদের সহযোগিতা পেলে সৃষ্টিকর্তার দয়ায় আমার ছেলে নতুন জীবন ফিরে পেতে পারে।
চিত্ত রঞ্জন হাওলাদারের স্ত্রী জানান, আমার স্বামী দুই মাস ধরে অসুস্থ। আমার স্বামী দিন মজুরের কাজ করত। স্বামী দুই মাস ধরে অসুস্থ থাকায় সন্তানদের ও শ্বাশুড়িকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি। আপনেরা আমার স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন। আপনাদের সহযোগিতা পেলে হয়তো আমার স্বামীকে বাঁচানো যাবে। যোগাযোগ ও সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: চিত্ত রঞ্জন হাওলাদারের স্ত্রী, 01728535769 (বিকাশ/নগদ)।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.