
নেত্রকোনা প্রতিনিধি: “নারীদের এগিয়ে নিতে হবে। সমাজের ৫০ শতাংশ নারী যদি পিছিয়ে থাকে, তবে সমাজ একচাকা মোটরসাইকেলের মতোই কুড়িয়ে কুড়িয়ে চলবে। সমাজের যে পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে, তা তখন কখনও বাস্তবায়িত হবে না,”— মন্তব্য করেছেন নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম।
বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, নেত্রকোনার আয়োজনে ‘জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠায় তথ্যপ্রযুক্তি: সচেতনতা ও সহযোগিতা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোর অগ্রগতির পিছনে রয়েছে কর্মক্ষেত্রে নারীর ব্যাপক ও সমান অংশগ্রহণ। যদিও বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, তবুও নারীর অসমতা ও বৈষম্যের কাঠামোগত সমস্যা এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি।
উপাচার্য আরও বলেন, “আমাদের সমাজে এখনো পুরনো ধারণা ও বাধাগুলো টিকে আছে। একটি ক্ষুদ্র অংশের নারী শিক্ষিত হচ্ছে ও কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে; কিন্তু অধিকাংশ নারী এখনো পিছিয়ে রয়েছে। এসব বাধা দূর করতে সচেতনতা ও প্রযুক্তি—দুটি বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”
বুধবার দুপুরে নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে অবস্থিত ক্যাফেটেরিয়া ভবনে প্রথমবারের মতো এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে জেন্ডার সমতা ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজা মাহবুব ও ড. মুহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম।
সেমিনারের প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. আনিছা পারভিন। তিনি কর্মক্ষেত্রে নারীর নানা চ্যালেঞ্জ, সামাজিক কাঠামোতে নারীদের নানা সময়ে ‘বস্তু’ হিসেবে উপস্থাপনের সমস্যা এবং জেন্ডার বৈষম্যের বহুমাত্রিক দিক নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ–নেত্রকোনা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মৃণাল কান্তি চক্রবর্তী।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। তারা জেন্ডার সমতা, নারীর অংশগ্রহণ ও প্রযুক্তির সম্ভাবনা বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.