
সংবাদের আলো ডেস্ক: ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি প্রতিপক্ষরা ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাতে পারে বলে ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) জিও নিউজের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
শনিবার (২২ নভেম্বর) দেশটির আইএসএনএ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, গোয়েন্দা মন্ত্রী ইসমাইল খতিব সতর্ক করে বলেছেন, ‘শত্রুরা সর্বোচ্চ নেতাকে লক্ষ্যবস্তু করতে চাইছে, কখনও হত্যার চেষ্টা করে, কখনও শত্রুতাপূর্ণ আক্রমণের মাধ্যমে।’
যদিও মন্ত্রী কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার কথা উল্লেখ করেছিলেন কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। কারণ ইরানি কর্মকর্তারা প্রায়ই বিদেশি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন।
যদিও জুন মাসে ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের সংঘাতের আগে খামেনির জীবন নিয়ে হুমকির ঘটনা তেমন ছিল না।
‘যারা জেনেশুনে বা অজান্তে এই লক্ষ্যে কাজ করে, তারা শত্রুর অনুপ্রবেশকারী এজেন্ট।’ খতিব সরাসরি ইসরাইল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন।
এই বছরের শুরুতে সংঘাতের সময়, ইসরাইল ইরানের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং স্থাপনাগুলোর পাশাপাশি আবাসিক এলাকাগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করে হামলা করেছিল। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের সাথে মিলে গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে হামলা চালায়।
তবে, জুনের সংঘাতের সময় খামেনিকে হত্যার ইসরাইলি পরিকল্পনা নিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আমাদের ‘খুব সহজ লক্ষ্য’ কিন্তু আমরা তাকে সরিয়ে দেব না, অন্তত এই মুহূর্তে নয়।
পরে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে বলেন, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে ‘একটি অত্যন্ত কুৎসিত এবং ঘৃণ্য মৃত্যু’ থেকে বাঁচিয়েছেন।
৮৬ বছর বয়সী খামেনি ১৯৮৯ সাল থেকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এবং সকল রাষ্ট্রীয় বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারী।
এর আগে জুলাই মাসে, খামেনি বলেছিলেন, সংঘাতের সময় ইসরাইলের আক্রমণের উদ্দেশ্য ছিল ইসলামী প্রজাতন্ত্রকে দুর্বল করা, অস্থিরতা তৈরি করা এবং ‘সিস্টেমকে’ উৎখাত করার জন্য মানুষকে রাস্তায় নামানো।
সংঘাতের পর ২৪ জুন থেকে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। তবে ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে হামলা চালানোর হুমকি অব্যাহত রেখেছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.