মাসুম হোসেন অন্তু, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ভাবির সাথে পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি ঢাকতে স্ত্রী মাবিয়া খাতুনের নামে কুরুচিপূর্ণ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শরিফুল ইসলাম নামের যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শরিফুল পেশায় অটোচালক, সে উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের মাদলা দক্ষিণ পাড়া গ্রামের দিনমজুর মন্টু সরকারের ছোট ছেলে।
গৃহবধূর মাবিয়া শাহজাদপুর পৌর শহরের পুকুরপাড় মহল্লার দরিদ্র শাহ নেওয়াজ খানের মেয়ে। ২ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে উভয়ের বিয়ে হয়, তাদের ঘরে ৭ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। (১৯ শে অক্টোবর রোববার) সকালে পুকুরপাড় মহল্লায় সরেজমিনে গেলে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ মাবিয়া খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাসুর আরিফুল ইসলাম সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে ৯ মাস পূর্বে সাথী খাতুন নামের খালাতো বোনকে বিয়ে করেন। বিয়ের ৩ মাস পর তিনি আবারো সৌদি আরব চলে যান।
তারপর থেকেই আমার স্বামী শরিফুল ও তার ভাবি পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি আমার কাছে প্রকাশ পেলে আমি প্রতিবাদ করি এবং শাশুড়িকে জানাই। তারপর থেকেই শাশুড়ি ও স্বামী শরিফুল আমাকে মারধর ও নির্যাতন করতে থাকে এবং চুপ না থাকলে সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। চলতি মাসের ৩ তারিখে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য আমার বাবা মা শশুরবাড়িতে এলে তাদেরও তাদের মারধর করে ঘরে বন্দি করে রাখে। পড়ে এলাকাবাসী গিয়ে আমি ও আমার সন্তান সহ সবাইকে উদ্ধার করে বাবার বাড়িতে নিয়ে আসে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য আমার স্বামী সম্প্রতি আমার নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ায় যে আমি আমার প্রবাসী স্বামী ও সন্তানকে রেখে উধাও হয়ে গেছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এই ঘটনা স্বামী শরিফুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে শাহজাদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মাবিয়া খাতুন। এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত শরিফুলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে কল কেটে দেন।
পরে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এই বিষয়ে প্রতিবেশী মোঃ ফারুক হোসেন জানান, গত ৩ অক্টোবর মাবিয়ার পিতা শাহনেওয়াজ আমাকে কল দিয়ে জানায় যে তার মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের মারধর করে আটকে রেখেছে। পড়ে জিল্লু ভাই সহ গ্রামের বেশ কয়েকজন মাদলা গ্রামে শরিফুলদের বাড়িতে গিয়ে মাবিয়া ও তার শিশু সন্তান এবং তার বাবা মা কে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেই। এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, মাবিয়ার কোন দোষ নাই।
তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের মারধর করেছে বিষয়টি আমরা অবগত আছি। মাবিয়া বর্তমানে তার সন্তানসহ বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে। এই বিষয়ে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম আলী বলেন, মাবিয়া খাতুনের একটি লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। উভয়পক্ষকে থানায় উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.