সংবাদের আলো ডেস্ক: আগামী নির্বাচনে ভূমিকা এবং প্রধানমন্ত্রী পদের বিষয়ে নিজের প্রত্যাশা নিয়ে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত কথা বলেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার (৬ অক্টোবর) প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে বিবিসি বাংলা জানতে চায়, আগামী নির্বাচনে আপনার ভূমিকা কী হবে, আপনি কি সরাসরি নির্বাচন করছেন? আপনাকে কি আমরা প্রধানমন্ত্রী পদের প্রত্যাশী হিসেবে দেখতে পাব?
প্রশ্নের উত্তরে তারেক রহমান বলেন, 'আমার মনে হয় আপনি প্রথমদিকে বোধহয় একটা প্রশ্ন করেছেন, আমি ওখানে বলেছিলাম স্বাভাবিক আমি একজন রাজনৈতিক দলের সদস্য। একজন রাজনৈতিক কর্মী আমি। নির্বাচনের সাথে তো রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক কর্মীর ওতপ্রোত সম্পর্ক। কাজেই নির্বাচন যেখানে একটি মানে জনগণের সম্পৃক্ত এরকম একটি নির্বাচন হবে, সেখানে তো অবশ্যই আমি নিজেকে দূরে থাকতে পারবো না। আমাকে আসতেই হবে। স্বাভাবিকভাবেই মাঠেই ইনশাআল্লাহ থাকবো আমি।'
তিনি আরও বলেন, 'আপনি আপনার প্রশ্নের পরের যে অংশটি (প্রধানমন্ত্রী বিষয়ে) ছিল, দেখুন আমি মনে করি এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগণের। এটি তো আমার সিদ্ধান্ত না। এটি সিদ্ধান্ত নিবে বাংলাদেশের জনগণ।'
নির্বাচনে আপনি অংশ নেবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত তো আপনাকে নিতে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, 'না না সেটি (নির্বাচনে অংশ) তো নেব, কেন নিব না? অবশ্যই নিব।'
বিবিসি বাংলা পাল্টা প্রশ্ন করে, 'অর্থাৎ বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে বা নির্বাচনে অংশ নেয় সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রত্যাশী হিসেবে আমরা তারেক রহমানকে দেখতে পাব, সেটা আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি?'
উত্তরে তারেক রহমান এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগণের বলে জানান। এই সিদ্ধান্ত দল হিসেবে বিএনপি নেবে বলেও জানান তিনি।
দীর্ঘদিন পর কোনো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে তারেক রহমান বলেন, 'গণমাধ্যমের সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা না বলার বিষয়ে জানতে চাইলে তারেক রহমান বলেন, ব্যাপারটা বোধ হয় এরকম না, ব্যাপারটা বোধ হয় একটু ভিন্ন। আসলে আমি কথা ঠিকই বলেছি। আমি দীর্ঘ ১৭ বছর এখানে আছি এই দেশে, প্রবাস জীবনে, তবে আমার উপরে যখন দলের দায়িত্ব এসে পড়েছে তারপর থেকে আমি গ্রামে-গঞ্জে আমার নেতাকর্মীসহ তাদের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষ যখন যেভাবে অংশগ্রহণ করেছে, আমি সকলের সাথে কথা বলেছি।'
তিনি বলেন, 'আপনারা নিশ্চয়ই জানেন বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় কোর্ট থেকে রীতিমতো একটা আদেশ দিয়ে আমার কথা বলার অধিকারকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমি যদি গণমাধ্যমে কিছু বলতে চাইতাম, হয়ত গণমাধ্যমের ইচ্ছা ছিল ছাপানোর, গণমাধ্যম সেটি ছাপাতে পারত না।'
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, 'আমি একবার প্রেস ক্লাবে কথা বলেছিলাম। পরের দিন দেখলাম যে তখনকার প্রেস ক্লাবের যারা সদস্য ছিলেন বা কমিটি ছিল, তারা একটি মিটিং ডেকে একটি সভা করে সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা তখন আমাকে আইনের দৃষ্টিতে ফেরারি বলা হয়েছিল যে, সেরকম কোনো ব্যক্তিকে তারা প্রেস ক্লাবে কথা বলতে দেবে না। এভাবে তারা চেষ্টা করেছিল আমার কথা বন্ধ করে রাখতে।'
তিনি বলেন, 'আমি কথা বলেছি, সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন পন্থায় আমি পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি, আমি ইনশাআল্লাহ পৌঁছেছি মানুষের কাছে। কাজেই গণমাধ্যমে যে কথা বলিনি তা না। আমি কথা বলেছি হয়ত আপনারা তখন কথা নিতে পারেননি অথবা শুনতে পারেননি। ইচ্ছা থাকলেও ছাপাতে পারেননি, হয়ত প্রচার করতে পারেননি। কিন্তু আমি বলেছি, আমি থেমে থাকিনি।'
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.