=সংবাদের আলো ডেস্ক: নেপালের সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের পর পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। ঝুঁকি মোকাবিলায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি জেলার চিকেন’স নেক এলাকার মাধ্যমে ভারতের নেপাল সীমান্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ। সীমান্তবর্তী এ এলাকা নিরাপত্তা সংক্রান্ত ভাবনায় সংবেদনশীল। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন মমতা।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থ সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। আমরা একমত।’
এনডিটিভি সূত্রে, নেপালে চলমান বিক্ষোভ ও সামরিক হস্তক্ষেপে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির সরকার পতিত হয়ে সুশীলা কার্কি অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তবে দেশটিতে পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এর ফলে শিলিগুড়ি সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের ঝুঁকি এবং নকশালপন্থী রাজনীতির প্রভাব বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মোদির সঙ্গে বৈঠকে মমতা দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে শিলিগুড়ি সীমান্তে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের পাশাপাশি আধাসামরিক বাহিনী সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) দায়িত্ব পালন করবে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান করা হবে।
মমতা ও তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য বিজেপি দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যের মধ্যে শত্রুতার মূল কারণও সীমান্ত এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার। তবে নেপালের অভ্যুত্থানের পরিস্থিতিতে মমতা কেন্দ্রের সঙ্গে সমঝোতায় এসে নিরাপত্তা ও স্বার্থ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.