সংবাদের আলো ডেস্ক: পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে ভারতের হামলায় ১২ ঘণ্টায় অন্তত ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। অঞ্চলটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ শনিবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, এ সময়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা, গোলাগুলি, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা-পালটা হামলার মাঝেই এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে, শনিবার ভোরে ভারতের কয়েকটি সামরিক অবস্থানের ওপর সামরিক অভিযান চালায় পাকিস্তান।
শনিবার (১০ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আউটলুক বিজনেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টানা দ্বিতীয় রাতেও ভারতের অভ্যন্তরে ড্রোন হামলার চেষ্টা চালিয়েছে পাকিস্তান।
ভারতের প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার রাতের হামলায় জম্মু ও কাশ্মীর থেকে শুরু করে গুজরাট পর্যন্ত অন্তত ২৬টি স্থানে হামলার লক্ষ্য ছিল। লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে বিমানবন্দর ও বিমানঘাঁটির মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও ছিল।
মূলত দুই চিরবৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই কাশ্মীরের অংশবিশেষ শাসন করে এবং অঞ্চলটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজমান।
গত ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারায়। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ওই সময় রাফালসহ ভারতের বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান এবং ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ এও বলেছে, এক্ষেত্রে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সীমান্ত অতিক্রম করেনি তাদের বাহিনী।
পরবর্তীতে নয়াদিল্লি হামলা অব্যাহত রাখলে পাকিস্তানও ছেড়ে কথা বলেনি। দেশটির সামরিক বাহিনী ঘোষণা করেছে, তারা ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগারগুলোতে অভিযান চালিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তান ভারতের হামলার যে জবাব দিচ্ছে, তার নাম রাখা হয়েছে ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’।
পবিত্র কুরআনের সুরা আস-সফের চতুর্থ আয়াত থেকে শব্দটি নেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হলো- সীসাঢালা প্রাচীর।
পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের মতে, এই অভিযানে ফাতেহ-১ মধ্যম-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রসহ একাধিক অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে এবং ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.