বেরোবি প্রতিনিধি: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) পরীক্ষায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষার্থী হয়রানি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ দূর করতে চালু হতে যাচ্ছে নাম-রোলহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ও ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. ইলিয়াছ প্রামানিক। তিনি জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
তিনি বলেন, "ফাইনাল পরীক্ষায় রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন চালু হলে কোনো পরীক্ষক জানবেন না খাতা কোন শিক্ষার্থীর। এতে স্বজনপ্রীতি বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নম্বর কম বা বেশি দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। শিক্ষার্থীরা সঠিক মূল্যায়ন পাবে।"
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের ভাষ্যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি বিভাগেই কিছু শিক্ষক রয়েছেন, যারা পছন্দের শিক্ষার্থীদের বেশি নম্বর এবং মতের অমিল হলে কম নম্বর দিয়ে থাকেন। অনেক সময় ভালো লিখেও আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না।
তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এমন অভিযোগ থাকলেও তা প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি। তবে এখন যদি নাম-রোলহীন পদ্ধতিতে খাতা মূল্যায়ন হয়, তাহলে প্রত্যেক শিক্ষার্থী সমান সুযোগ পাবে এবং প্রকৃত মেধার ভিত্তিতে নম্বর পাবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. তানজিউল ইসলাম জীবন, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. রশীদুল ইসলাম এবং সহকারী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র সিংহের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও ফলাফল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ আনেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। এরপরই একাডেমিক কাউন্সিল এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় নাম-রোলহীন খাতা মূল্যায়নের।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশা করছে, এই পদ্ধতি পরীক্ষায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে এবং শিক্ষার্থীদের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.