
এর মধ্যে ৩জন চিকিৎসক দিয়ে পর্যায়ক্রমে জরুরি ও অন্ত:বিভাগের কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসক সংকটে ছোট ছোট সমস্যাতেও রোগীদের রেফার্ড করা হচ্ছে নওগাঁ কিংবা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সূত্রটি আরও জানায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে আয়া, ওয়ার্ডবয় ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংকট রয়েছে। আয়া ও ওয়ার্ডবয় ৫ পদের বিপরীতে রয়েছে ২জন এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ৫ পদের জায়গায় আছে মাত্র ১জন। আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ঘুরে দেখা যায়, বহির্বিভাগে নারী, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের রোগীদের দীর্ঘ লাইন। লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার পর ডাক্তার দেখাতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন অনেকে। এদিন কশব ইউনিয়নের পলাশবাড়ি গ্রাম থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী শামীম হোসেন বলেন, ‘বুকের ব্যথার চিকিৎসা নিতে আমি ১৫ কিলোমিটার দুর থেকে হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু এমবিবিএস পদের কোনো ডাক্তার পায়নি। অবশেষে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের কাছে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে যাচ্ছি। ভাল একজন ডাক্তারকে দেখানোর আশা নিয়ে এতদুর থেকে এসেছিলাম। তা পুরন হয়নি, সময় ও অর্থ দুটোই অপচয় হলো।’
উপজেলার গোসাইপুর গ্রাম থেকে হার্ট, ডায়াবেটিস ও বুকের ব্যথার চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে এসেছিলেন রোগী রবিউল ইসলাম টিপু। তিনি বলেন, হাসপাতালে কোনো ডাক্তার নাই। কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারেরা দেখে একটা চিরকুটে কিকি লিখে দিল ভাল লাগেনি। তাই দুধের স্বাধ ঘোলে মিটিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। আগামিতে রাজশাহী শহরে গিয়ে ভাল ডাক্তার দেখাব। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী সুনীল কুমার বলেন, এক সময় এ হাসপাতালে অনেক ডাক্তার থাকায় বৈকালিক চিকিৎসাসেবা চালু করা হয়েছিল। ভালমানের চিকিৎসা পাওয়ায় ওই সময় হাসপাতালে রোগীর লেগেই ছিল। এখন খুঁজেও ডাক্তার পাওয়া যায় না। এখন রোগীর চাপ বাড়লেও ডাক্তার না থাকায় সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এ উপজেলার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের সামান্য দুরে হাসপাতালটির অবস্থান হওয়ায় এর গুরুত্ব অনেক বেশি।
মহাসড়কে ছোট-বড় দুর্ঘটনায় দ্রুত চিকিৎসার জন্য আহতদের এ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় তাদের পাঠানো হয় নওগাঁ কিংবা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এতে পথেই অনেক সময় রোগী মৃত্যু ঘটে। এ প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহা. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ হাসপাতালে মাত্র ৪জন চিকিৎসক আছেন। এদের দিয়ে কোনোভাবে জরুরি ও অন্ত:বিভাগের কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরও সংকট রয়েছে। এসব কারণে রোগীরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। আশা করছি খুব শিগগিরই এ সমস্যার উত্তোরন হবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.