
তিনি জাতিসংঘে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেন যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। এছাড়াও তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছিলেন। সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক শিক্ষার্থী বলেন, বিতর্কিত কোন ব্যক্তির নামে হলের নাম হওয়াটা নিন্দনীয়, তাই সেটির পরিবর্তন কামনা করছি। শাহ আজিজুর রহমানের নামের পরিবর্তে মাওলানা ভাসানী, শেরেবাংলা, সোহরাওয়ার্দী, শহীদ আবরার ফাহাদ বা অন্যান্য আরো অনেক নাম, সেগুলো দেওয়া উচিত ছিল। কেউ কেউ ইবির স্বনামধন্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ নামে হল নামকরণের প্রস্তাব করেছেন। আরেক শিক্ষার্থী বলেন, শাহ আজিজুর রহমান বাংলাদেশের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তবে মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।
প্রশাসনের উচিত ছিল নিরপেক্ষ এবং সর্বজন স্বীকৃত কারো নামে হলের নামকরণ করা। ইবি প্রশাসনের সিদ্ধান্তগুলো বরাবরই বিতর্কিত। এদিকে এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সংসদ। বুধবার (৫ মার্চ) এক যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে ইবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক এই নিন্দা জানান। একইসাথে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে মাওলানা ভাসানীর নামে নামকরণের আহ্বান জানান।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.