
৩০ ধারা শেষ করে ৩১ ধারা শুরু করলে মামলার জট সে রকমই থেকে যায়। সাধারণত ৩০ ও ৩১ ধারায় সকল বিচার কার্য শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু মামলা শেষ তো হয়ইনি ক্রমশ জটিলতা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। দেয়া হলো পারমিশন (বিশেষ আদেশে) কেসের সুযোগ। পরবর্তীতে ১৭টি সিটে প্রায় ৯ হাজার ৫শ খতিয়ানের মধ্যে প্রায় ৮হাজার ৮শ পারমিশন (বিশেষ আদেশে) মামলা হয়। এ নিয়ে সৃষ্টি হয় নানা ধূ¤্রজাল। তার মানে কোন ভাবেই মামলার জট শেষ হচ্ছিল না। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষে নজরে আসলে ২০০৬ সালে নকশাগুলো যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয় জরিপ অধিদপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের কাছে। সেখানে নকশায় ধরা পরে মারাত্বক রদবদল। পরচায় জমির ধারাবাহিকতা মিল থাকলেও আধিকাংশ দাগেই জমির পরিমাণ মিল নেই। যার ফলে বার বার মামলা করে সমাধান খুঁজছিল ভুক্তভোগিরা। পরবর্তীতে কোন সমাধান না করতে পেরে স্থগিত করে দেয় জরিপ কার্যক্রম। এর পর থেকেই নানা বিপদে পড়তে হচ্ছে এ এলাকার ভূমি মালিকদের। ক্রমান্নয়ে বন্ধ হয়ে যায় খাজনা খারিচ, ব্যাংক ঋণ সহ নানা কার্যক্রম। হাল নাগাদ খাজনা পরিশোধ রশিদ ও খারিজ বাধ্যতামূল হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় জমি বেচা-কেনা। ফলে বিপদগ্রস্থ হয়ে পড়েন এলাকার মানুষ।
অনেক দরিদ্র পরিবার নানা সমস্যায় জমি বিক্রি করতে চাইলেও বিক্রি করতে পারছে না। সম্প্রতি অনলাইন ভিক্তিক খাজনা খারিজ হওয়ায় জটিলতা আরো বেড়েছে। এ মৌজার বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ বলেন, ্ওই সময় অদক্ষ সার্ভেয়ার (আমিন) দিয়ে নকশা করার কারণে এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে প্রায় ২৫ বছর যাবৎ বিপদে ফেলে রাখছে এ এলাকার মানুষের। দিন যাচ্ছে আরো জটিলতা বাড়ছে। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই। টাঙ্গাইল জোলান সহকারি সেটেলমেন্ট অফিসার এস এস রফিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়টি নিয়ে জরিপ অধিদপ্তরে মতাততের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। জরিপ বাতিলও হতে পারে আবার নকশার পূর্ণকিস্তারও হতে পারে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের যে নিদের্শনা আসবে সেই মোতাবেক কাজ করতে হবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.