মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদনে সরকারি চাল পাচারকালে  চট্টগ্রাম গামী বৈশাখী পরিবহন নামের এক বাস আটক করেছে জনতা। রোববার ( ৯ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের খান বাড়ির মোড়ে বাসটি আটক করা হয়। বাসের ভিতরে ৩০ কেজি ওজনের সরকারী সিলমোহর যুক্ত ২০ টি বস্তা পাওয়া গেছে। এ সময় চাল জব্দ করে উপজেলা খাদ্য অফিস।

স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ-ব,০০৫৫ নাম্বারে বৈশাখী পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস দীর্ঘ দুই বছর ধরে প্রতিদিন বিকেলে ফতেপুর ইউনিয়নের হাসনপুর বাজার  থেকে চট্রগ্রাম যাতায়াত করে। রোববার (৯ জুলাই) গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার সময় পথে হাসনপুর বাজারের মসজিদের পাশে থেকে সরকারি সিলমোহর যুক্ত চালের বস্তা বাসে তোলা হয়। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন সন্দেহ করলে পথে খান বাড়ি মোড়ে আটক করে। এ  সময় বাসের ভেতর ৩০ কেজি ওজনের ২০ টি বস্তা চাল  পাওয়া যায়। বর্তমানে চালসহ বাসটি জনতার হাতে আটক রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা, মোস্তুজা খান পাখি, গোলাম কিবরিয়া খান,খাইরুল খান বলেন,' বৈশাখী পরিবহনের বাসে যাত্রীদের সাথে ২০ বস্তা সরকারি চাল পাওয়ার বাসটি আটক করা হয়েছে। সরকারি চাল পাচারের সাথে যারা জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান তারা।

জানতে চাইলে বৈশাখী পরিবহনের হাসনপুর বাজারের কাউন্টার মাস্টার কাঞ্চন মিয়া বলেন, 'বিরাশি গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে সৈকত চালের বস্তাগুলো গাড়িতে তুলে ভাড়া দিয়েছে। চালের বস্তাগুলো যাবে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ওয়াসিম মিয়ার কাছে। এর বেশী কিছু আমি জানি না।

এ ব্যাপারে ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার তালুকদার শফি জানান,' শুনেছি যাত্রীবাহী বাসে সরকারি চাল আটক করেছে জনতা। আমি চাই বিষয়টি তদন্ত করে  প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে। মদন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শেখ হোসেন সানোয়ার বলেন,আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। ফতেপুর ইউনিয়নের মাস্টার রোল সঠিক পেয়েছি।   ২০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। ইউএনও স্যারের নির্দেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  মোঃ শাহ আলম মিয়া জানান, ' যাত্রীবাহী বাসে সরকারি চাল থাকায় জনতা আটক করেছে আমি শুনেছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য মদন উপজেলা খাদ্য  নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।